Follow Us

Responsive Advertisement

propelller push

Responsive Advertisement
রুশ বিপ্লবঃ


ছবি সংগ্রহঃroar.media 


রুশ বিপ্লব হচ্ছে বলশেভিক বিপ্লব এবং অক্টোবর বিপ্লবের সমন্বিত রূপ । ১৯১৭ সালে ৮ মার্চ বিশ্ব নারী দিবসের দিন নারীরা তাদের অধিকার আদায়ের দাবিতে রাজপথে নেমে আসে । পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেন শ্রমিকরা ।

"রুশ বিপ্লব" ১৯১৭ সালে সংগ‌ঠিত দুইটি বিপ্লবের মিলিত নাম। এই বিপ্লবের মাধ্যমে রাশিয়ায় জার শাসনের অবসান হয় এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের উত্থান হয়। ১৯১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে (গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জী অনুযায়ী মার্চ মাস) সংগঠিত প্রথম বিপ্লবের মাধ্যমে রাশিয়ার সম্রাজ্য ভেঙে পরে এবং শেষ সম্রাট দ্বিতীয় নিকোলাসকে উৎখাত করে একটি অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। দ্বিতীয় বিপ্লবের মাধ্যমে অন্তর্বতীকালীন সরকারকে উৎখাত করে বলশেভিক (কমিউনিস্ট) সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়।তৎকালীন রা‌শিয়ায় একটি দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা চলতে থাকে যেখানে অন্তর্বর্তীকালিন সরকারের হাতে ছিল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা আর সোভিয়েতদের হাতে ছিল জাতীয় পর্যায়ে সমাজের শ্রমিক শ্রেনী ও বামপন্থীদের আনুগত্যের ফলে প্রাপ্ত ক্ষমতা। এই বিশৃঙ্খল পরিবেশে ঘন ঘন বিদ্রোহ, প্রতিবাদ ও ধর্মঘট সংগঠিত হতে থাকে। অন্তরর্বর্তীকালীন সরকার যখন জার্মানির সাথে যুদ্ধে লিপ্ত, তখন বলশেভিক ও অন্যান্য সমাজাতন্ত্রিক জোটগুলো সংঘাত বন্ধের জন্য প্রচারণা চালায়। বলশেভিকরা শ্রমিক মিলিশিয়াদের রেড গার্ডস, পরবর্তিতে রেড আর্মিতে রূপান্তরিত করে এবং তাদের উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে।১৯১৭ সালে অক্টোবর বিপ্লবের (গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জী অনুসারে নভেম্বর) মধ্য দিয়ে বলশেভিক পার্টি ও শ্রমিক সোভিয়েতরা পেট্রোগ্রাদের অন্তরবর্তীকালীন সরকারকে উৎক্ষাত করে রাশিয়ান সোভিয়েত ফেডারেশন সোস্যালিস্টিক রিপাবলিক প্রতিষ্ঠা করে। সেই সাথে রাজধানী মস্কোতে স্থানান্তর করা হয়।


ফরাসি বিপ্লবঃ


ছবি সংগ্রহঃউইকিপিডিয়া

ফরাসি বিপ্লব :(১৭৮৯–১৭৯৯) ফরাসি, ইউরোপ এবং পশ্চিমা সভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এই বিপ্লবের সময় ফ্রান্সে নিরঙ্কুশ রাজতন্ত্র বিলুপ্ত হয়ে প্রজাতান্ত্রিক আদর্শের অগ্রযাত্রা শুরু হয়।ফরাসি বিপ্লবের মূলনীতি ছিল "Liberté, égalité, fraternité, ou la mort!" অর্থাৎ "স্বাধীনতা, সমতা, ভ্রাতৃত্ব, অথবা মৃত্যু"। এই শ্লোগানটিই বিপ্লবের চালিকাশক্তিতে পরিণত হয়েছিলো যার মাধ্যমে সামরিক এবং অহিংস উভয়বিধ পদ্ধতি অনুসরণের মাধ্যমে পশ্চিমা বিশ্বে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।

 সরকারের কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য ছিলো যা বিপ্লবের মূল হিসেবে পরিগণিত হয়>>নিম্নমানের অর্থনৈতিক অবস্থা এবং বল্গাহীন জাতীয় ঋণ। এর মূল কারণ ছিল অসম করারোপণ যার বোঝা মোটেই বহনযোগ্য ছিলনা, সম্রাট লুই ১৬-এর অত্যধিক খরচ এবং অষ্টাদশ শতাব্দীর বিভিন্ন যুদ্ধসমূহ।বেকারত্বের উচ্চহার এবং খাদ্যদ্রব্যের উচ্চমূল্য।বিপ্লবের ঠিক আগের মাসগুলোতে বিরাজমান খাদ্য সংকট।


আরব বসন্তঃ 


ছবি সংগ্রহঃউইকিপিডিয়া

২০১০ সালের শুরু থেকে আরব বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বয়ে যাওয়া গণবিপ্লবের ঝড়কে পশ্চিমা সাংবাদিকরা আরব বসন্ত  হিসাবে আখ্যায়িত করেছে।পুলিশের দুর্নীতির প্রতিবাদে ২০১০ সালের ১৭ ডিসেম্বর তিউনিসিয়ার সিদি বাওজিদ এলাকার ফুটপাতের সবজি বিক্রেতা মোহাম্মদ বাওয়াজিজি নিজের গায়ে আগুন জ্বেলে আত্মাহুতি দেন। সেই ঘটনা থেকে জন্ম আরব বসন্তের। ২৬ বছর বয়সী ওই যুবকের আত্মাহুতির খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। তিউনিসিয়ার মানুষ শুরু করে আন্দোলন। তীব্র আন্দোলনের মুখে পদত্যাগে বাধ্য হন দেশটির প্রেসিডেন্ট জয়নাল আবেদিন বেন আলী। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা বেন আলীর শাসনামলের ইতি ঘটে। তিউনিসিয়ার বিপ্লবে উদ্বুদ্ধ হয়ে দীর্ঘদিন ক্ষমতাসীন থাকা শাসকদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে ওঠে বাহরাইন, মিসর, লিবিয়া, সিরিয়া ও ইয়েমেনে। গণবিক্ষোভের শুরু তিউনিসিয়ায় এরপর তা মিশরে, লিবিয়া, ইয়েমেন সহ বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে যায়। প্রথমে মিশরে প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকের পতন হয়। পরে লিবিয়ায় মুয়াম্মর আল-গাদ্দাফি জমানার অবসান হয়।আরব বসন্ত’ নামে পরিচিত স্বৈরাচারবিরোধী তথাকথিত গণ-অভ্যুত্থানের জোয়ার সিরিয়াতেও এসে লাগে ২০১১ সালে। ওই বছরের মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় পাঁচ বছরে এই জোয়ারের সুফল না মিললেও এই সময়ে হতাহত হয়েছে বিরাটসংখ্যক জনগোষ্ঠী।



 সবুজ বিপ্লবঃ


ছবি সংগ্রহঃবাংলাপিডিয়া

সবুজ বিপ্লব বিংশ শতাব্দীর শেষার্ধে উচ্চ ফলনশীল বীজ, সার এবং সেচের পানি ব্যবহারের মাধ্যমে গম, ধান, ভুট্টা প্রভৃতির উৎপাদনে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অতি দ্রুত যে বিরাট সাফল্য অর্জিত হয়েছে তাকে ‘সবুজ বিপ­ব’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। এখানে বিপ­ব শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে দ্রুত পরিবর্তন অর্থে।
সবুজ বিপ­বের সূচনা হয় ১৯৪৪ সালে, মেক্সিকোয়। মূলত উচ্চ ফলনশীল গম জাত উদ্ভাবনের মাধ্যমে এ বিপ­বের যাত্রা শুরু। এর নেতৃত্ব দেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী কৃষি বিজ্ঞানী ড. নরমোন ই বোরলগ। ১৯৪৩ সালে মেক্সিকো যেখানে তার প্রয়োজনের প্রায় অর্ধেক শস্য বিদেশ থেকে আমদানি করত, সেখানে সবুজ বিপ­বের মাধ্যমে ১৯৫১ সালের মধ্যেই ওই দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে এবং ১৯৬৪ সালে মেক্সিকো প্রায় অর্ধ মিলিয়ন টন গম বিদেশে রফতানি করতে সক্ষম হয়।মেক্সিকোর পর উচ্চ ফলনশীল ও রাসায়নিক সারের অনুকূলে সাড়া দেয়া গমের জাতগুলোর ব্যাপক চাষাবাদ হয় আমেরিকায়। তাতে বৃদ্ধি পায় উৎপাদন। ১৯৪০-এর দশকে যুক্তরাষ্ট্র যেখানে ভোগের জন্য শতকরা ৫০ ভাগ গম আমদানি করত, সেখানে ১৯৫০-এর দশকে দেশটি খাদ্য শস্যের উৎপাদনে স্বয়ম্ভরতা অর্জন করে এবং ১৯৬০ এর দশকে পরিণত হয় একটি রফতানিকারী দেশে।বুজ বিপ­বের সাফল্যের পেছনে দুটো আন্তর্জাতিক কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের অবদান সবেচেয়ে বেশি। এর একটি হলো মেক্সিকোয় প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক ভুট্টা ও গম গবেষণা কেন্দ্র (CIMMYT) এবং অপরটি হলো ফিলিপাইনে প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (IRRI)।

Post a Comment