Follow Us

Responsive Advertisement

propelller push

Responsive Advertisement

 

ছবি সংগ্রহঃইউটিউব

কারক শব্দটির অর্থ হলো- যা ক্রিয়া সম্পাদন করে।

কারক ছয় প্রকার:

  1. কর্তৃকারক
  2. কর্ম কারক
  3. করণ কারক
  4. সম্প্রদান কারক
  5. অপাদান কারক এবং
  6. অধিকরণ কারক।


দানবীর রাজা হর্ষবর্ধন প্রয়াগের মেলায় রাজভাণ্ডার থেকে স্বহস্তে দরিদ্র প্রজাদের অর্থসম্পদ বিতরণ করতেন।

এখানে-
১. দানবীর রাজা হর্ষবর্ধন - ক্রিয়ার সাথে কর্তৃসম্বন্ধ
২. অর্থসম্পদ - ক্রিয়ার সাথে কর্ম সম্বন্ধ
৩. স্বহস্তে - ক্রিয়ার সাথে করণ সম্বন্ধ
৪. দরিদ্র প্রজাদের - ক্রিয়ার সাথে সম্প্রদান সম্পর্ক
৫. রাজভাণ্ডার থেকে - ক্রিয়ার সাথে অপাদান সম্পর্ক
৬. প্রয়াগের মেলায় - ক্রিয়ার সাথে অধিকরণ সম্পর্ক



  • কর্তৃকারক
বাক্যস্থিত যে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদ ক্রিয়া সম্পন্ন করে তাকে ক্রিয়ার কর্তা বা কর্তৃকারক বলে।
ক্রিয়ার সঙ্গে 'কে' বা 'কারা' যোগ করে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, তা-ই কর্তৃকারক। যেমন- খোকা বই পড়ে।

  • কর্ম কারক
যাকে আশ্রয় করে কর্তা ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকে কর্ম কারক বলে।
ক্রিয়ার সঙ্গে 'কী' বা 'কাকে' দ্বারা প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, তা-ই কর্ম কারক।
যেমন: ডাক্তার ডাক।



  • করণ কারক
ক্রিয়া সম্পাদনের যন্ত্র, উপকরণ বা সহায়ককেই করণ কারক বলে।
বাক্যস্থিত ক্রিয়াপদের সঙ্গে 'কিসের দ্বারা' বা 'কী দ্বারা' প্রশ্ন করলে যে উত্তরটি পাওয়া যায়, তা-ই করণ কারক। যেমন-
নীরা কলম দিয়ে লেখে।



  • সম্প্রদান কারক
যাকে স্বত্ব ত্যাগ করে দান, অর্চনা, সাহায্য ইত্যাদি করা হয়, তাকে সংস্কৃত ব্যাকরণ অনুযায়ী সম্প্রদান কারক কারক বলে। একে “নিমিত্ত কারক”-ও বলা হয়। এখানে লক্ষণীয় যে, বস্তু নয় ব্যক্তিই সম্প্রদান কারক। ক্রিয়াকে কাকে দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায় তা সম্প্রদান কারক।


  • অপাদান কারক
যা থেকে কিছু বিচ্যুত, গৃহীত, জাত, বিরত, আরম্ভ, দূরীভূত ও রক্ষিত হয় এবং যা দেখে কেউ ভীত হয়, তাকেই অপাদান কারক বলে। অপাদান কারকে সাধারণত পঞ্চমী বিভক্তি হয়।

যেমন- গাছ থেকে পাতা পড়ে।


  • অধিকরণ কারক
ক্রিয়া সম্পাদনের কাল (সময়) এবং আধারকে অধিকরণ কারক বলে। অধিকরণ কারকে সাধারণত সপ্তমী অর্থাৎ এ, য়, তে ইত্যাদি বিভক্তি যুক্ত হয়।

যেমন- বাড়িতে কেউ নেই।



অধিকরণ কারক ৩ প্রকারঃ

  • আধারাধিকরণঃ বাড়িতে কেউ নেই
  • কালাধিকরণঃ বসন্তে কোকিল ডাকে
  • ভাবাধিকরণঃ  সূর্যোদয়ে অন্ধকার দূরীভূত হয়






বাক্যস্থিত একটি শব্দের সঙ্গে অন্য শব্দের অন্বয় সাধনের জন্য যে সকল বর্ণ যুক্ত হয়, তাদের বিভক্তি বলে।

প্রথমাঃ  ০, অ, এ (য়), তে, এতে(এক বচন) 
             রা, এরা, গুলি (গুলো), গণ(বহুবচন)

দ্বিতীয়াঃ ০, অ, কে, রে (এরে), এ, য়, তে(একবচন)
              দিগে, দিগকে, দিগেরে, *দের(বহুবচন)

তৃতীয়াঃ  ০, অ, এ, তে, দ্বারা, দিয়া (দিয়ে), কর্তৃক(একবচন)
             দিগের দিয়া, দের দিয়া, দিগকে দ্বারা, দিগ কর্তৃক, গুলির দ্বারা, গুলিকে দিয়ে, *গুলো দিয়ে, গুলি               কর্তৃক, *দের দিয়ে(বহুবচন)

চতুর্থীঃ  দ্বিতীয়ার মতো দ্বিতীয়ার মতো

পঞ্চমীঃ  এ (য়ে, য়), হইতে, *থেকে, *চেয়ে, *হতে(একবচন)
             দিগ হইতে, দের হইতে, দিগের চেয়ে, গুলি হইতে, গুলির চেয়ে, *দের হতে, *দের থেকে, *দের                 চেয়ে(বহুবচন)

ষষ্ঠীঃ  র, এর(একবচন)
         দিগের, দের, গুলির, গণের, গুলোর(বহুবচন)

সপ্তমীঃ  এ (য়), তে, এতে। দিগে, দিগেতে, গুলিতে, গণে, গুলির মধ্যে, গুলোতে, গুলোর মধ্যে।






Post a Comment