Follow Us

Responsive Advertisement

propelller push

Responsive Advertisement


সেভেন সিস্টার্সঃ


ছবিসংগ্রহঃquora

 ভারতের উওর পূর্বে অবস্থিত সাতটি রাজ্যকে একত্রে ‘সেভেন সিস্টার্স’ বলা হয়।। আকৃতি মুরগির ঘাড়ের মতো বলে একে চিকেন'স নেক নামেও অভিহিত করা হয়।

ভারতের ৭ টি রাজ্যকে সেভেন সিস্টারস বলা হয়। রাজ্যগুলো হলঃ-

.অরুণাচল- অরুণাচলের রাজধানী ইটানগর। এ প্রদেশের বেশিরভাগ অঞ্চল পর্বতবেষ্টিত। এর আয়তন ৮৩,৭৪৩ বর্গকিলোমিটার।


২.মণিপুর - মণিপুরের রাজধানী হলো ইম্ফল। এর আয়তন প্রায় ২২,৩২৭ বর্গকিলোমিটার। ১৯৯৭ সালে রাজধানীটি পূর্ব ইম্ফল ও পশ্চিম ইম্ফল নামে দুই ভাগে বিভক্ত হয়।

৩.মেঘালয় - মেঘালয়ের রাজধানী শিলং। এটি ভারতের ২১তম রাজ্য। এর আয়তন ২২,৪২৯ বর্গকিলোমিটার। গারো পাহাড়, খাসি পাহাড়, জয়ন্তিয়া পাহাড়ের সমন্বয়ে গড়ে ওঠে এই রাজ্যটি।

৪.নাগাল্যান্ড- নাগাল্যান্ডের রাজধানী কোহিমা। এটি ভারতের ক্ষুদ্রতম রাজ্যগুলোর একটি। এর আয়তন ১৬,৫৭৯ বর্গকিলোমিটার। ১৯৫১ সালের মে মাসে নাগাল্যান্ডে একটি স্বতঃস্ফূর্ত গণভোট অনুষ্ঠিত হয়।

৫.মিজোরাম - মিজোরামের রাজধানী আইজল। এটি উত্তর ও দক্ষিণ লুসাই পার্বত্য জেলাগুলোর সমন্বয়ে গঠিত। এর আয়তন ২১,০৮৭ বর্গকিলোমিটার। এটি দেশের ২৩তম রাজ্য। এই রাজ্যের বিশাল পাইনের গুচ্ছ, নান্দনিক প্রাকৃতিক দৃশ্য, বাঁশের ওপর নির্মিত ঘরের গ্রাম দেয় অপূর্ব সৌন্দর্য।

৬.ত্রিপুরা- ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা। এটি ভারতের তৃতীয় ক্ষুদ্রতম রাজ্য। এর আয়তন ১০,৪৮৬ বর্গকিলোমিটার। দীর্ঘ সময়ব্যাপী রাজ্যটি ত্রিপুরি সাম্রাজ্যের শাসনাধীন ছিল।

৭.আসাম- আসামের রাজধানী দিসপুর। একে ঘিরে রয়েছে ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড, মেঘালয়, মিজোরাম, মণিপুর ও অরুণাচল প্রদেশ। এর আয়তন ৭৮,৪৩৮ বর্গকিলোমিটার। রাজ্যটি বিলুপ্তপ্রায় ভারতীয় একশৃঙ্গ গণ্ডার সংরক্ষণের চেষ্টা করছে। মধ্যযুগে আসাম দুটি রাজবংশ—কোচ এবং অহম দ্বারা শাসিত হতো।


এই রাজ্যগুলি ২৫,৫৫১১ বর্গ কিলোমিটার এলাকা (৯৮,৬৫৩ বর্গ মাইল), অথবা ভারতের মোট এলাকার প্রায় ৭ শতাংশ এলাকা জুড়ে রয়েছে। ২০১১ সালে এই সাতটি রাজযে ৪৪.৯৮ মিলিয়ন জনসংখ্যা ছিল, যা ভারতের মোট জনসংখ্যার ৩.৭ শতাংশ। যদিও সাতটি রাজ্যে জাতিগত ও ধর্মীয় বিস্তারিত বৈচিত্র্য আছে, তবে তারা অনেক পূর্ব থেকেই রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অনুরূপতা বহন করে।


ছিটমহলঃ



ছবি সংগ্রহঃSATV 


ছিটমহল দ্বারা এমন অঞ্চল বা ভূখণ্ডকে বোঝায় যা একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় অবস্থিত অন্য কোনো স্বাধীন রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত এলাকা।

অখণ্ড ভারত বিভক্ত করে ভারত এবং পাকিস্তান নামক দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লগ্নে ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে র‌্যাডক্লিফ মানচিত্র বিভাজন থেকেই উদ্ভব ছিটমহলের। এক দেশের ভূখণ্ডে থেকে যায় অন্য দেশের অংশ। এতে এক অসহনীয় মানবিক সমস্যার উদ্ভব হয় । ১৬২ টি ছিটমহল ছিল দুই প্রতিবেশী দেশে। এর মধ্যে ভারতের ১১১টি ছিটমহল ছিল বাংলাদেশের অভ্যন্তরে। আর বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল ছিল ভারতের অভ্যন্তরে। এসব ছিটমহলে বসবাসকারী জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৫১ হাজার। ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের ছিটমহলে বসবাসরত লোকসংখ্যা ছিল ৩৭ হাজার এবং ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের ছিটমহলের লোকসংখ্যা ছিল ১৪ হাজার।২৪ হাজার ২৬৮ একর ভূমি নিয়ে দুই দেশের ছিটমহল ছিল। তার মধ্যে ভারতের জমির পরিমাণ ছিল ১৭ হাজার ১৫৮ একর। বাংলাদেশের ছিটমহলের জমির পরিমাণ ছিল ৭ হাজার ১১০ একর।ভারতীয় ছিটমহলগুলোর অধিকাংশই ছিল বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে। এসবের মধ্যে লালমনিরহাটে ৫৯ টি, পঞ্চগড়ে ৩৬ টি, কুড়িগ্রামে ১২ টি ও নীলফামারিতে ৪ টি ভারতীয় ছিটমহল ছিল। অপরদিকে বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহলের অবস্থান ছিল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে। এর মধ্যে ৪৭টি কুচবিহার ও ৪ টি জলপাইগুড়ি জেলায় অবস্থিত ছিল।



তিনবিঘা করিডোরঃ


ছবিসংগ্রহঃYoutube 


তিনবিঘা করিডোর হল একটি স্বতন্ত্র ভূমি যা ভারতের মালিকানাধীন তিন বিঘা জায়গার মধ্যে অবস্থিত। এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার মেঘলিগঞ্জ মহকুমা ও বাংলাদেশের লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার সীমান্তে অবস্থিত।লালমনিরহাট জেলাধীন পাটগ্রাম উপজেলার সীমান্তবর্তী ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ছিটমহল ছিল দহগ্রাম ও আঙ্গরপোতা। এ ছিটমহলের সাথে তৎকালীন পাকিস্তানের মূল ভূখন্ডের যোগাযোগের জন্য একটি ‘প্যাসেজ ডোর’ এর ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল, যা বর্তমানে ‘তিন বিঘা করিডোর’ নামে পরিচিত। পাকিস্তান আমল পেরিয়ে বাংলাদেশ আমল পর্যন্ত তিন বিঘা হস্তান্তর প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের অনেক বৈঠক এবং চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দের পর থেকে দহগ্রাম ও আঙ্গরপোতা ছিটমহল পাটগ্রাম উপজেলার একটি স্বতন্ত্র ইউনিয়ন ‘দহগ্রাম ইউনিয়ন’ হিসেবে পরিগণিত হয় এবং ১৯৮৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৯ আগস্ট এখানে ইউনিয়ন পরিষদের শুভ উদ্বোধন ঘটে। ১৯৯২ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ জুন ইজারার মাধ্যমে উক্ত তিন বিঘা বাংলাদেশকে প্রদান করা হয়। তবে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ১ ঘন্টা পর পর করিডোর দিয়ে বাংলাদেশীদের যাতায়াতের সুযোগ দেয়া হয়। অতঃপর করিডোর দিন- রাত খোলা রাখার জন্য দাবী উত্থাপিত হলে ২০০১ খ্রিষ্টাব্দের ২৭ এপ্রিল থেকে তা সকাল ৬ঃ৩০ মিনিট হতে সন্ধ্যা ৬ঃ৩০ পর্যন্ত খোলা রাখার ব্যবস্থা করা হয়। সর্বশেষ গত ৬ সেপ্টেম্বর ২০১১ খ্রি. তারিখে ঢাকাতে অনুষ্ঠিত হাসিনা-মনমোহন বৈঠকে স্বাক্ষরিত চুক্তি মোতাবেক বাংলাদেশীদের যাতায়াতের জন্য তিনবিঘা করিডোর বর্তমানে ২৪ ঘন্টা খোলা রাখা হচ্ছে।

Post a Comment