ব্যাসবাক্য: সমাসের অর্থ প্রকাশ করার জন্য যে বাক্য বা বাক্যাংশ ব্যবহৃত হয়, তাকে ব্যাসবাক্য বলে। যেমন—বিলাত হতে ফেরত=বিলাতফেরত। এখানে ‘বিলাত হতে ফেরত’ হলো ব্যাসবাক্য।
সমস্যমান পদ: যে কয়েকটি পদ মিলে সমাস হয় তাদের সমস্যমান পদ বলে। যেমন—বিলাত হতে ফেরত= বিলাতফেরত। এখানে ‘বিলাত’ ও ‘ফেরত’ পদ দুটো সমস্যমান পদ।
সমস্ত পদ: সমাস নিষ্পন্ন পদকে সমস্ত পদ বলে। যেমন—বিলাত হতে ফেরত=বিলাতফেরত। এখানে ‘বিলাত ফেরত’ পদটি সমস্ত পদ।
সমাস সাধারণত ছয় প্রকারঃ
১. দ্বন্দ্ব সমাস ২. কর্মধারয় সমাস
৩. তৎপুরুষ সমাস ৪. দ্বিগু সমাস
৫. অব্যয়ীভাব সমাস ও ৬. বহুব্রীহি সমাস।
- দ্বন্দ্ব সমাস: যে সমাসে কয়েক পদে সমাস হয় এবং এদের প্রতিটির অর্থ প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে।
দ্বন্দ্ব সমাস নয় প্রকারঃ
১.সমার্থক দ্বন্দ্ব: কাজ ও কর্ম= কাজ-কর্ম, হাট-বাজার, ঘর-দুয়ার, কল-কারখানা, খাতা-পত্র
২. বিপরীতার্থক দ্বন্দ্ব: দিন ও রাত= দিন-রাত, জমা-খরচ, ছোট-বড়, ছেলে-বুড়ো, লাভ-লোকসান
৩.বিকল্পর্থক দ্বন্দ্ব: হার অথবা জিৎ= হার-জিৎ
৪. সমাহার দ্বন্দ্ব: দুধ ও কলা= দুধ-কলা,
৫. মিলনার্থক দ্বন্দ্ব: চাল ও ডাল= চাল-ডাল, মা-বাপ, মাসি-পিসি, জ্বিন-পরি, চা-বিস্কুট
৬. অলুক দ্বন্দ্ব: কাগজে ও কলমে= কাগজে-কলমে
৭.বহুপদী দ্বন্দ্ব: রূপ, রস, গন্ধ ও স্পর্শ= রূপ-রস-গন্ধ-স্পর্শ
৮.একশেষ দ্বন্দ্ব: তুমি, আমি ও সে= আমরা
৯. অনুকার দ্বন্দ্ব: কাজ ও টাজ= কাজটাজ
কর্মধারয় সমাস:বিশেষণ পদের সঙ্গে বিশেষ্য পদের যে সমাস হয় এবং যাতে বিশেষণ একই ব্যক্তি বা বস্তুকে বোঝালেও কর্মধারয় সমাস হয়।
যেমন: যিনি রাজা তিনি ঋষি=রাজর্ষি।
কর্মধারয় সমাস প্রধানত পাঁচ প্রকার। যথাঃ-
(১) সাধারণ কর্মধারয়: বিশেষণ ও বিশেষ্য, বিশেষ্য ও বিশেষ্য অথবা বিশেষণ ও বিশেষণ পদের মধ্যে এই সমাস হয়ে থাকে। যেমন, নীল যে আকাশ=নীলাকাশ।(২) মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস
(২) মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাসঃকর্মধারয় সমাসে কোন কোন স্থানে মধ্যপদের লোপ হয়। সেজন্যেই একে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস বলে। যথা: হিমালয় নামক পবর্ত = হিমালয়পবর্ত। এখানে ‘নামক’ মধ্যপদের লোপ হয়েছে।(৩)উপমিত কর্মধারয় সমাস
তৎপুরুষ সমাস: পূর্ব পদে দ্বিতীয়া, তৃতীয়া, চতুর্থী, পঞ্চমী, ষষ্ঠী ও সপ্তমী বিভক্তি লোপ হয়ে যে সমাস হয় এবং যাতে পর পদের অর্থই প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে তৎপুরুষ সমাস বলে।
যেমন—দুঃখকে প্রাপ্ত=দুঃখপ্রাপ্ত।
তৎপুরুষ সমাস ছয় প্রকার। যথাঃ-
(৫) ষষ্ঠী-তৎপুরুষ ঃ ষষ্ঠী-বিভক্ত্যন্ত পদ পূর্বে থেকে সমাস হলে, তাকে ষষ্ঠী-তৎপুরুষ বলে। যেমনঃ দীনের বন্ধু = দীনবন্ধু।
এছাড়াও, নঞ্ অব্যয় পূর্বে থেকে যে সমাস হয়, তাকে নঞ্তৎপুরুষ বলে। যেমনঃ ন উক্ত = অনুক্ত।
দ্বিগু সমাস: পূর্বপদে সংখ্যাবাচক শব্দের সঙ্গে সমাহার বা সমষ্টি অর্থে বিশেষ্য পদের যে সমাস হয়, তাকে দ্বিগু সমাস বলে।
যেমন—তিন কালের সমাহার=ত্রিকাল
অব্যয়ীভাব সমাস: পূর্বপদে অব্যয় যোগে যে সমাস হয় এবং যাতে অব্যয়ের অর্থটিই প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলে।
যেমন—জলের অভাব=নির্জল, কূলের সমীপে=উপকূল ইত্যাদি।
বহুব্রীহি সমাস: যে সমাসের সমস্ত পদে সমস্যমান পদগুলোর কোনটির অর্থ না বুঝিয়ে অন্য কোনো তৃতীয় ব্যক্তি বা বস্তুকে বোঝায়, তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে।
যেমন—দশ আনন যার=দশানন। এখানে ‘দশ’ ও ‘আনন’ এই দুই পদে সমাস হয়ে ‘দশানন’ সমস্ত পদটি হয়েছে। কিন্তু ‘দশানন’ পদটি ‘দশ’ ও ‘আনন’ সমস্যমান পদগুলোর কোনোটির অর্থ না বুঝিয়ে দশ আনন (হাত) বিশিষ্ট ব্যক্তিকে বোঝাচ্ছে।
প্রধানত বহুব্রীহি সমাস সাত প্রকার:
১.সমানাধিকরন বহুব্রীহি: দশানন—দশ আনন যার
২.ব্যাধিকরণ বহুব্রীহি: পাপমতি-- পাপে মতি যার
৩.মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি: বিড়ালোক্ষী-- বিড়ালের অক্ষির মতো অক্ষি যার
৪.অলুক বহুব্রীহি: মুখেভাত-- মুখে ভাত দেওয়া হয় যে অনুষ্ঠানে।
৫.ব্যাতিহার বহুব্রীহি: লাঠালাঠি-- লাঠিতে লাঠিতে লড়াই।
৬.না বহুব্রীহি: নির্বাক-- নেই(ন) বাক যার।
৭.সহার্থক বহুব্রীহি: সবাক-- বাকের সহিত বর্তমান
৯. অনুকার দ্বন্দ্ব: কাজ ও টাজ= কাজটাজ
যেমন: যিনি রাজা তিনি ঋষি=রাজর্ষি।
কর্মধারয় সমাস প্রধানত পাঁচ প্রকার। যথাঃ-
(১) সাধারণ কর্মধারয়: বিশেষণ ও বিশেষ্য, বিশেষ্য ও বিশেষ্য অথবা বিশেষণ ও বিশেষণ পদের মধ্যে এই সমাস হয়ে থাকে। যেমন, নীল যে আকাশ=নীলাকাশ।(২) মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস
(২) মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাসঃকর্মধারয় সমাসে কোন কোন স্থানে মধ্যপদের লোপ হয়। সেজন্যেই একে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস বলে। যথা: হিমালয় নামক পবর্ত = হিমালয়পবর্ত। এখানে ‘নামক’ মধ্যপদের লোপ হয়েছে।(৩)উপমিত কর্মধারয় সমাস
(৩)উপমিত কর্মধারয় সমাসঃসমান ধর্মবাচক পদের প্রয়োগ না থাকলে উপমেয় ও উপমান পদের যে সমাস হয়, তাকে উপমিত কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন: মুখ চন্দ্রসদৃশ = মুখচন্দ্র।(৪)রূপক কর্মধারয় সমাস
(৪)রূপক কর্মধারয়ঃউপমেয় পদে উপমানের আরোপ করে যে সমাস হয়, তাকে রূপক কর্মধারয় সমাস বলে। এতে উপমেয় পদে রূপ শব্দের যোগ থাকে। যেমন: বিদ্যারূপ ধন = বিদ্যাধন। এখানে ‘রূপ’ শব্দের যোগ রয়েছে।(৫)উপমান কর্মধারয় সমাস
(৫)উপমান কর্মধারয়ঃ উপমানবাচক পদের সাথে সমান ধর্মবাচক পদের মিলনে যে সমাস হয়, তাকে উপমান কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন: শশের (খরগোশের) ন্যায় ব্যস্ত = শশব্যস্ত।
(৪)রূপক কর্মধারয়ঃউপমেয় পদে উপমানের আরোপ করে যে সমাস হয়, তাকে রূপক কর্মধারয় সমাস বলে। এতে উপমেয় পদে রূপ শব্দের যোগ থাকে। যেমন: বিদ্যারূপ ধন = বিদ্যাধন। এখানে ‘রূপ’ শব্দের যোগ রয়েছে।(৫)উপমান কর্মধারয় সমাস
(৫)উপমান কর্মধারয়ঃ উপমানবাচক পদের সাথে সমান ধর্মবাচক পদের মিলনে যে সমাস হয়, তাকে উপমান কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন: শশের (খরগোশের) ন্যায় ব্যস্ত = শশব্যস্ত।
তৎপুরুষ সমাস: পূর্ব পদে দ্বিতীয়া, তৃতীয়া, চতুর্থী, পঞ্চমী, ষষ্ঠী ও সপ্তমী বিভক্তি লোপ হয়ে যে সমাস হয় এবং যাতে পর পদের অর্থই প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে তৎপুরুষ সমাস বলে।
যেমন—দুঃখকে প্রাপ্ত=দুঃখপ্রাপ্ত।
তৎপুরুষ সমাস ছয় প্রকার। যথাঃ-
১.দ্বিতীয়া-তৎপুরুষ ঃ দ্বিতীয়া-বিভক্ত্যন্ত পদ পূর্বে থেকে সমাস হলে, তাকে দ্বিতীয়া-তৎপুরুষ বলে। যেমনঃ স্বর্গকে গত = স্বর্গগত।
(২)তৃতীয়া-তৎপুরুষ ঃতৃতীয়া-বিভক্ত্যন্ত পদ পূর্বে থেকে সমাস হলে, তাকে তৃতীয়া-তৎপুরুষ বলে। যেমনঃ রজ্জু দ্বারা বন্ধ = রজ্জুবন্ধ।
(৩)চতুর্থী-তৎপুরুষ ঃচতুর্থী-বিভক্ত্যন্ত পদ পূর্বে থেকে সমাস হলে, তাকে চতুর্থী-তৎপুরুষ বলে। যেমনঃ যজ্ঞের নিমিত্ত ভূমি = যজ্ঞভূমি।
(৪)পঞ্চমী-তৎপুরুষ ঃপঞ্চমী-বিভক্ত্যন্ত পদ পূর্বে থেকে সমাস হলে, তাকে পঞ্চমী-তৎপুরুষ বলে। যেমনঃ মুখ হইতে ভ্রষ্ট = মুখভ্রষ্ট।
(৫) ষষ্ঠী-তৎপুরুষ ঃ ষষ্ঠী-বিভক্ত্যন্ত পদ পূর্বে থেকে সমাস হলে, তাকে ষষ্ঠী-তৎপুরুষ বলে। যেমনঃ দীনের বন্ধু = দীনবন্ধু।
(৬)সপ্তমী-তৎপুরুষ ঃসপ্তমী-বিভক্ত্যন্ত পদ পূর্বে থেকে সমাস হলে, তাকে সপ্তমী-তৎপুরুষ বলে। যেমনঃ দিবাতে নিদ্রা = দিবানিদ্রা।
অনুবাদ অব্যয় পদ পূর্বে থেকে যে সমাস হয় এবং যাতে পূর্ব পদের অর্থেরই প্রাধান্য থাকে, তাকে উপসর্গ তৎপুরুষ সমাস বা অব্যয়ীভাব সমাস বলে। যেমনঃ আত্মাকে অধি (অধিকার করিয়া) = অধ্যাত্ম।
(৮)উপপদ-তৎপুরুষ সমাস ঃযে পদের পরবর্তী ক্রিয়ামূলের সঙ্গে কৃৎ প্রত্যয় যুক্ত হয়, সে পদকে উপপদ বলে।কৃদন্ত পদের সাথে উপপদের যে সমাস হয়, তাকে উপপদ তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন: জলে চরে যা= জলচর, জল দেয় যা= জলদ, পঙ্কে জন্মে যা= পঙ্কজ ইত্যাদি।
এছাড়াও, নঞ্ অব্যয় পূর্বে থেকে যে সমাস হয়, তাকে নঞ্তৎপুরুষ বলে। যেমনঃ ন উক্ত = অনুক্ত।
দ্বিগু সমাস: পূর্বপদে সংখ্যাবাচক শব্দের সঙ্গে সমাহার বা সমষ্টি অর্থে বিশেষ্য পদের যে সমাস হয়, তাকে দ্বিগু সমাস বলে।
যেমন—তিন কালের সমাহার=ত্রিকাল
অব্যয়ীভাব সমাস: পূর্বপদে অব্যয় যোগে যে সমাস হয় এবং যাতে অব্যয়ের অর্থটিই প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলে।
যেমন—জলের অভাব=নির্জল, কূলের সমীপে=উপকূল ইত্যাদি।
বহুব্রীহি সমাস: যে সমাসের সমস্ত পদে সমস্যমান পদগুলোর কোনটির অর্থ না বুঝিয়ে অন্য কোনো তৃতীয় ব্যক্তি বা বস্তুকে বোঝায়, তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে।
যেমন—দশ আনন যার=দশানন। এখানে ‘দশ’ ও ‘আনন’ এই দুই পদে সমাস হয়ে ‘দশানন’ সমস্ত পদটি হয়েছে। কিন্তু ‘দশানন’ পদটি ‘দশ’ ও ‘আনন’ সমস্যমান পদগুলোর কোনোটির অর্থ না বুঝিয়ে দশ আনন (হাত) বিশিষ্ট ব্যক্তিকে বোঝাচ্ছে।
প্রধানত বহুব্রীহি সমাস সাত প্রকার:
১.সমানাধিকরন বহুব্রীহি: দশানন—দশ আনন যার
২.ব্যাধিকরণ বহুব্রীহি: পাপমতি-- পাপে মতি যার
৩.মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি: বিড়ালোক্ষী-- বিড়ালের অক্ষির মতো অক্ষি যার
৪.অলুক বহুব্রীহি: মুখেভাত-- মুখে ভাত দেওয়া হয় যে অনুষ্ঠানে।
৫.ব্যাতিহার বহুব্রীহি: লাঠালাঠি-- লাঠিতে লাঠিতে লড়াই।
৬.না বহুব্রীহি: নির্বাক-- নেই(ন) বাক যার।
৭.সহার্থক বহুব্রীহি: সবাক-- বাকের সহিত বর্তমান
প্রাদি সমাসঃপ্র,পরা প্রভৃতি বিশটি উপসর্গের সাথে কৃৎ প্রত্যয়সাধিত বিশেষ্য পদের সমাস হলে, তাকে প্রাদি সমাস বলে। যেমন: সম্ (সম্যক্) যে আদর = সমাদর, প্র (প্রকৃষ্ট) যে বচন = প্রবচন, পরি (চতুর্দিকে) যে ভ্রমণ = পরিভ্রমণ, অনুতে (পশ্চাতে) যে তাপ = অনুতাপ, প্র (প্রকৃষ্ট রূপে) ভাত (আলোকিত) = প্রভাত, প্র (প্রকৃষ্ট রূপে) গতি = প্রগতি ইত্যাদি,
বাক্যাশ্রয়ী সমাসঃযে সমাসে সমাসবদ্ধ পদগুলি একমাত্রায় লেখা হয় না এমনকি সবসময় পদসংযোজক চিহ্ন দ্বারাও যুক্ত করে লেখা হয় না - বিচ্ছিন্নভাবে লিখিত এই সমাসকে বলা হয় বাক্যাশ্রয়ী সমাস। যেমন ; 'বসে আঁকো প্রতিযোগিতা', 'সব পেয়েছির দেশ' ইত্যাদি ।
নিত্য সমাসঃযে সমাসে সমস্যমান পদ দ্বারা সমাস-বাক্য হয় না, অন্য পদের দ্বারা সমস্ত পদের অর্থ প্রকাশ করতে হয়, তাকে নিত্য সমাস বলে। তদর্থবাচক ব্যাখ্যামূলক শব্দ বা বাক্যাংশ যোগে এগুলোর অর্থ বিশদ করতে হয়। যেমন: কেবল তা = তন্মাত্র, অন্য গ্রাম = গ্রামান্তর, কেবল দর্শন = দর্শনমাত্র, অন্য গৃহ = গৃহান্তর, (বিষাক্ত) কাল (যম) তুল্য (কাল বর্ণের নয়) সাপ = কালসাপ, তুমি আমি ও সে = আমরা, দুই এবং নব্বই = বিরানব্বই।
অলুক সমাসঃযে সমাসে সমস্যমান পদের বিভক্তি লোপ পায় না, তাকে অলুক সমাস বলে। যেমন: দুধে-ভাতে, জলে-স্থলে, দেশে-বিদেশে, হাতে-কলমে, ঘোড়ার ডিম, মাটির মানুষ, মামার বাড়ি, গায়ে পড়া, গায়ে হলুদ, হাতেখড়ি, মুখে-ভাত ইত্যাদি।
উপপদ সমাসঃকৃদন্ত-পদের পূর্বে যে পদ থাকে, তাকে উপপদ বলে এবং উপপদের সাথে কৃদন্ত-পদের যে সমাস হয়, তাকে উপপদ সমাস বলে। যেমন: কুম্ভ করে যে = কুম্ভকার।


Post a Comment